ভারতের হায়দরাবাদের চমৎকার আতিথেয়তা পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। প্রস্তুতি ম্যাচসহ সেখানে চারটি ম্যাচ খেলেছে তারা। পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে মনে হয়েছে যেন তারা ভারতে নয়, রাওয়ালপিন্ডিতেই খেলছিলেন।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সূচনা ভালো না হলেও বড় ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতেছিল বাবর আজমের দল। সেদিনও গ্যালারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাকিস্তানের সমর্থকদের দেখা গিয়েছিল যারা পাকিস্তানি নন।
বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পাকিস্তানি ভক্তরা ভিসা জটিলতার কারণে এখনো ভারতে যেতে না পারলেও লংকান ভক্তরা ঠিকই চলে গেছেন।
তারপরও গ্যালারিতে দেখা মিলেছে পাকিস্তান দলের ভক্তদের। এই ম্যাচ দুইটিই পাকিস্তান খেলেছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল লঙ্কানরা। বল হাতেও শুরুতে ইমাম ও বাবরকে শিকার করে জয়ের আশা জাগিয়েছিল দলটি।
তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি শ্রীলঙ্কা, শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
১২১ বলে ১৩১ রানের হার না মানা ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিজওয়ান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে কেমন আতিথেয়তা পাচ্ছেন। তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদের গ্যালারি দেখে রিজওয়ানের মনে হয়েছেন যেন তারা রাওয়ালপিন্ডিতে খেলছেন।
জবাবে রিজওয়ান বলেন, ‘আতিথেয়তা তো আপনারা দেখেছেনই বিমানবন্দরে। তারা যেভাবে বিমানবন্দরে আমাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিল, তা অসাধারণ ছিল।
আজকে মাঠে দেখেছেন, গ্যালারিতে আমাদের অনেক সমর্থক ছিল। দারুণ! আমার তো মনে হচ্ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে খেলছি। লাহোর অনেক বড় ম্যাচ, অনেক সমর্থক আসে। তবে আমার আজ মনে হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলছি।’
রিজওয়ান যেমন ভারতের প্রশংসা করেছেন, তেমনই দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ইনিংসের সুবাদের সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের (বীরেন্দর শেবাগ, ইরফান পাঠান, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, মোহাম্মদ কাইফ প্রমুখ) প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। গুজরাটের আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় এই ম্যাচটি।
Leave a Reply