কক্সবাজার সংবাদদাতা : ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের রামু সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষক ও অভিবাবকদের অভিযোগ, কলেজটি ৫ বছর আগে সরকারি করা হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেসরকারি কলেজের মতো করেই বেতন ও অন্যান্য ফি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম বিভিন্ন সময় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কলেজ তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তদন্ত করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। যদিও অধ্যক্ষ বলছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
২০২২ সালে রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন ২৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মুজিবুল আলম। এরপরই তিনি নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সময় প্রশংসা পত্র ও প্রত্যয়ন পত্র প্রদান, ভর্তি বাতিল এবং কলেজ পরিবর্তনের জন্য অধ্যক্ষ মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের। এমনকি সরকারি কলেজ হলেও বেসরকারি কলেজের মতো করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও অন্যান্য ফি নেয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদেরও। রামু সরকারি কলেজ আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আকতার জাহান কাকলী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাহাব উদ্দিন জানান, মুজিবুল আলম নিজের পছন্দের শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি করে শোক দিবসের অনুষ্ঠান, বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান, শিক্ষক পার্কিং শেড নির্মান, রংকরণসহ বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে কলেজ তহবিল থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
এদিকে, এসব প্রকল্পের সাথে জড়িত শিক্ষকরাও অভিযোগ তুলেছেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, এসব প্রকল্পের জন্য কমিটি করা হয়েছে কাগজে কলমে। তাদের নামে চেক ইস্যু করে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। তাদের আর কোন ভূমিকা ছিল না।
তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানান রামু সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রামু ডিগ্রি কলেজ ২০১৮ সালে সরকারি করা হয়।
Leave a Reply