পার্থ রহমান : জাতীয় সংসদের তিনশ আসনের অনেকগুলোতেই এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। অনেকেই নিজ নিজ আসনে প্রার্থী হতে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। জমা দিতেও শুরু করেছেন তারা। যদিও প্রার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন কিনা, তা নির্ভর করছে দলীয় অবস্থানের ওপর। যদি দল নির্দেশ দেয় সরে দাঁড়ানোর, তবে তারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন।
সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৫ আসনে এবছর দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহিদ ফারুক শামীম। তবে তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনা হয়।
রাজবাড়ী-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জিল্লুল হাকিম। কিন্তু এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
এভাবেই জাতীয় সংসদের তিনশ আসনের মধ্যে অনেক আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের কারও না কারোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে।
ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের প্রায় সবকটিতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। জানা গেছে, গাবতলী, শাহ আলী ও রূপনগর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী ২৭জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগেরই ১০জন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মাঈনুল হাসেন খান নিখিল।
ধানমন্ডি ও কলাবাগান নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস। জানা গেছে এই আসনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত একাধিক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফরিদপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ এবং ফরিদপুর-৪ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মুখোমুখি হতে চলেছেন দলের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। আর এমন চিত্র সারাদেশেই।
Leave a Reply